ঔষধ ছাড়া কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় বিস্তারিত জানুন
ভুমিকা
আমাদের শরীরের অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। এই ইনসুলিন আমাদের শরীরের অতিরিক্ত গ্লুকোজ কমিয়ে আনে।
আমাদের শরীরে যখন ইনসুলিন উৎপাদিত হয় না অথবা ইনসুলিন ভালোভাবে কাজ করে না তখন আমাদের শরীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ জমা হতে থাকে। এমন অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। আজ আমরা জানবো ডায়াবেটিস কেন হয় ও ঔষধ ছাড়া কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় এর সম্পর্কে।
ডায়াবেটিস
মানব শরীরের এক ধরনের মেটাবলিক ডিজঅর্ডার কে ডায়াবেটিস বলা হয়। এমন অবস্থায় মানব শরীরে ইনসুলিন কাজ করে না অথবা ইনসুলিন তৈরি হয় না।
ডায়াবেটিস কে চার ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
- টাইপ-১
- টাইপ-২
- জেস্টেশনাল
- অন্যান্য
টাইপ-১ হলো ওই সকল রোগী যাদের শরীরে ইনসুলিন নষ্ট হয়ে গেছে। এদের ইনসুলিন না দিলে এরা মারা যেতে পারে।
টাইপ-২ ঐ সকল রোগী যাদের শরীরে ইনসুলিন আছে কিন্তু তা ভালোভাবে কাজ করছে না। এর ফলে খাদ্যের মাধ্যমে গ্রহণকৃত গ্লুকোজ শরীরে জমা হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস কেন হয় ও ঔষধ ছাড়া কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় এর সম্পর্কে।
ডায়াবেটিস কেন হয়
আমাদের শরীরের অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। এই ইনসুলিন আমাদের শরীরের অতিরিক্ত গ্লুকোজ কমিয়ে আনে। আমাদের শরীরে যখন ইনসুলিন উৎপাদিত হয় না অথবা ইনসুলিন ভালোভাবে কাজ করে না তখন আমাদের শরীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ জমা হতে থাকে।
এমন অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলা হয়।ডায়াবেটিস হলে খালি পেটে গ্লুকোজের মাত্রা ৭ এর বেশি হয় এবং খাবার খাবার পরে ১১ এর বেশি হয়।
ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষন
টাইপ-১ ডায়াবেটিস সহজে শনাক্ত করা যায়। এতে হঠাৎ করে স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। ওজন কমা সহ আরো কিছু জটিলতা দেখা যায়।
টাইপ-২ রোগীর ক্ষেত্রে টেস্ট না করে সনাক্ত করা কঠিন।অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তাদের ডায়াবেটিস রয়েছে।
ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়?
ডায়াবেটিস হলে নানা রকম সমস্যা হয়। হঠাৎ করে ওজন কমে যেতে পারে। ক্ষত স্থান দীর্ঘ দিন যাবত ঘা এর মত থাকতে পারে। অল্পতেই ক্লান্তি আসে। বার বার প্রসাব হতে পারে।
ডায়াবেটিস হলে আমাদের শরিরের গ্লুকোজ গুলো শরিরে জমা হতে থাকে সেগুলো শক্তিতে রুপান্তরিত হতে পারে না। ইনসুলিন নামক হরমোন সঠিক ভাবে উৎপাদিত না হওয়ায় এমন সমস্যা হয়ে থাকে। এমন রুগীদের অনেক সময় বাইরে থেকে ইনসুলিন এর প্রয়োজন হয়। ইনসুলিন না দেয়া হলে রুগীর মৃত্যু ঝুকিও থাকতে পারে।
ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ?
সাধারনত ডায়াবেটিস রুগীর খালি পেটে ডায়াবেটিস মাত্রা থাকে ৭ এর উপরে এবং খাবার খাওয়ার পরে থাকে ১১ এর উপরে। অনেক ক্ষেত্রে এই মাত্রা হঠাৎ করে অধিক বেড়ে গেলে চিন্তার কারন হতে পারে।
আবার খেয়াল রাখা জরুরি যে রুগীর ডায়াবেটিস মাত্রা যেন অতিরিক্ত কমে না যায়। এক্ষেত্রে ৫ এর নিচে নামলেই সতর্ক হতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।অত্যাধিক মাত্রায় ডায়াবেটিস কমে গেলে মৃত্যু ঝুকি রয়েছে।
ডায়াবেটিস রোগী কত দিন বাঁচে?
ডায়াবেটিস হলেই যে মানুষ এর বাঁচার আর আশা নেই এইটা একেবারে মিথ্যা কথা। একজন ডায়াবেটিস রোগী আর ১০ টা মানুষের মত সাধারন জীবন যাপন করে। তবে অবশ্যই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে না?
সাধারনত ডায়াবেটিস রুগীকে শর্করা জাতীয় খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। যেমন: ভাত,রুটি,মিষ্টি,নুডলস,পাস্তা ইত্যাদি। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এগুলো পরিমান মত খাওয়া যেতে পারে।
ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়?
সাধারণত নির্দিষ্ট কোন মাত্রা নেই যে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষ মারা যাবে। তবে ডায়াবেটিস যদি অত্যাধিক কমে যায় সেক্ষেত্রে মানুষ মারা যেতে পারে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে রোগীর ডায়াবেটিসের মাত্রা যেন ৩-৪ এর নিচে না নেমে যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক ঔষধ ছাড়া কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় এর সম্পর্কে।
ঔষধ ছাড়া কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়
ঔষধ ছাড়া কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হলো- পরিমিত খাদ্য গ্রহণ
- খাদ্যে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ
- নিয়মিত শরীর চর্চা
- ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ
লেখকের মন্তব্য
আজকে আমরা ডায়াবেটিস কেন হয় ও ঔষধ ছাড়া কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় এর সম্পর্কে জানলাম। যদি আপনাদের আরো কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট অপশনে আপনাদের মন্তব্য জানিয়ে দিন। আশা করি এখন আপনারা বুঝতে পেরেছেন ডায়াবেটিস কেন হয় ও ঔষধ ছাড়া কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় এর সম্পর্কে। যদি আপনি এই পোস্ট থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন তবে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
হাই