ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার এর ব্যবহার জানুন

আজ আপনাদের এমন একটি ঔষধ, প্রাকৃতিক সুধার কথা বলবো যা সত্যিকারের রোগ নিরামক ও প্রশমক। এতে রয়েছে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমানো হরমোনের সঠিক ব্যালেন্স ও আপনার সন্তানদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো ঔষধি গুণ। বলছিলাম আপেল সিডার ভিনেগার এর কথা। অন্যান্য গুণ ছাড়াও ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার এর তুলনা নেই।

ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার এর ব্যবহার জানুন

ভূমিকা

আপেল সিডার ভিনেগার এমন একটি প্রাকৃতিক গুণাবলী সমৃদ্ধ রোগ নিরামক যা আমরা আমাদের ও আমাদের প্রিয়জনের জন্য ব্যবহার করতে পারি। হাজার বছর ধরে আপেল সিডার ভিনেগার মহা ঔষধ ও রোগ নিরাময়ের সূত্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

ঔষধের জনক ‘হিপোক্রেটিস’ আপেল সিডার ভিনেগার কে প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক এবং জীবাণু নিরোধক হিসেবে তার রোগীদের জন্য ব্যবহার করেছেন আনুমানিক ৪০০ খ্রিস্টাব্দে। আজ আমরা ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম ও আপেল সিডার ভিনেগার এর বিভিন্ন ঔষধি গুণ নিয়ে আলোচনা করব।

আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার বা সিডার ভিনেগার হল এমন এক ধরনের সিরকা যা পানিতে দীর্ঘদিন ভেজানো আপেলের রস থেকে আলাদা করা হয়। আপেল সিডার ভিনেগার ডায়াবেটিস টাইপ-২ এর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী হল তারা যাদের ইনসুলিন সঠিকভাবে উৎপন্ন হয় না বা ইনসুলিন তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যার ফলে তাদের রক্তের শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি। আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত শর্করা কমানো সম্ভব।

আপেল সিডার ভিনেগারের কাজ কি?

আপেল সিডার ভিনেগারের অনেক গুণ রয়েছে। দৈনন্দিন আমরা আপেল সিডার ভিনেগার কে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি। আপেল সিডার ভিনেগারের কাজ গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো।

খাবার সংরক্ষণে আপেল সিডার ভিনেগার

সাধারণত গাজন বা ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপেল সিডার ভিনেগার তৈরি হয়। আপেল সিডার ভিনেগার এর মধ্যে 5% থেকে 6% অ্যাসিটিক অ্যাসিড এর জলীয় দ্রবণ থাকে। খাবারে আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারের ফলে খাবার দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায়। খাবার ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পঁচে যায় না। এছাড়াও অ্যাসিটিক অ্যাসিড শরীরের জন্য ভালো। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ লবণ বিদ্যমান।

জীবাণুনাশক হিসেবে আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার জীবাণু ধ্বংসে ভূমিকা রাখে। শরীরের কোন স্থানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। ছত্রাক নাশক হিসেবেও আপেল সিডার ভিনেগার ভূমিকা রাখে বিশেষ করে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন নখ,মাথা,কান,আঁচিল ইত্যাদি সংক্রমনে এটি ব্যবহার করা যায়।
কয়েক হাজার বছর আগে ক্ষতস্থান পরিষ্কারের জন্য আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করা হতো। ত্বকের ব্যাকটেরিয়া জনিত নানান সমস্যায় যেমন ব্রণ,ফুসকুড়ি ইত্যাদিতে আপেল সিডার ভিনেগার পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপেল সিডার ভিনেগার

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস যাদের আছে তাদের জন্য আপেল সিডার ভিনেগার খুবই উপকারী। ডাক্তারদের মতে রাতে ঘুমানোর আগে এক থেকে দুই টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করলে রক্তের শর্করার পরিমাণ অনেকটা কমে আসে। এছাড়াও সুস্থ মানুষ ও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে আপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারে এর ফলে অনেক বয়স পর্যন্ত যৌবন ধরে রাখা সম্ভব তবে যারা শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ সেবন করছেন তারা ভিনেগার খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

হৃদরোগে আপেল সিডার ভিনেগারের ব্যবহার

পৃথিবীতে হৃদরোগে মৃত্যুবরণের সংখ্যা অনেক বেশি। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতি পাঁচ জন মানুষের মধ্যে দুই জনেরই হৃদরোগ রয়েছে। হৃদরোগের প্রধান কারণ রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করলে রক্তের কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।এটি রক্তচাপ ও স্বাভাবিক রাখতে সহযোগিতা করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কমেন্ট করুন

comment url